বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত টিকিট কালেক্টর গ্রেড-২ পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ পদে ১৩৩ জন নেওয়া হবে। সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আবেদনের জন্য এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি হতে হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের হিসাবে প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর।
টিকিট
কালেক্টর পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতরা চাকরিতে যোগদানের পর মাসিক বেতন পাবেন জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)।
এ
পদের
জন্য
আবেদন
শুরু
হবে
১৩
ফেব্রুয়ারি। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২০ মার্চ।
আবেদনের নিয়ম:
আগ্রহীরা
br.teletalk.com.bd এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। টেলিটক প্রি-পেইড সিমের মাধ্যমে
২২৩ টাকা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০
সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।
চাকরিরত প্রার্থীদের সকল শর্ত পূরণ সাপেক্ষে
আবেদনপত্র পূরণের সময় Departmental Candidate এর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে হবে।
পদোন্নতি :
টিকিট কালেক্টর (গ্রেড-২) পদে ৬ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে টিকিট কালেক্টর (গ্রেড-১) পদে পদোন্নতি পান টিকিট কালেক্টর (গ্রেড-২) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীরা।
নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি বিদ্যমান বিধি
ও কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত
প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার সময় নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তি ছাড়পত্রে
মুলকপি জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাঁরা কমপক্ষে ২০ বছর চাকরি করেছেন, তাঁদের
সন্তানেরা পোষ্য কোটার সুবিধা পাবেন।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার
সময় সকল সনদের মূল কপিসহ এক সেট সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে এবং পূরণকৃত আবেদন ফরমসহ
সত্যায়িত এক সেট ফটোকপি জমা দিতে হবে। জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণক হিসেবে ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বাক্ষরসহ নাগরিকত্ব
সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদের
মূল কপি জমা দিতে হবে।
♦ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি : https://railway.gov.bd
রেলওয়ে টিকিট কালেক্টর
এর কাজ কি
বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট কালেক্টর রেলের
টিকেট চেক করে থাকে। টিকেট কালেক্টর ট্রেনের ভিতরে টিকেট চেক করে আবার স্টেশনের গেইটেও
টিকেট চেক করার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। তারা শুধু যাত্রীদের টিকেট চেক করে। অনেক সময়
দেখা যায় টিকেট কালেক্টর গেইটে টিকেট সংগ্রহ করেন আবার অনেক সময় করেন না । যাত্রীরা
চাইলে টিকেট চেক করিয়ে আবার সাথে করে নিয়ে
যেতে পারে ।
টিকেট
কালেক্টর চাইলে আপনার অবৈধ ভাবে ট্রেন ভ্রমণের কারণে জরিমানাও করতে পারে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট কালেক্টর গ্রেড-২ পদের কাজ ট্রেনের ভেতরে ও গেটে যাত্রীদের টিকিট যাচাই করা। এ ছাড়া যাত্রীদের টিকিট সরবরাহের কাজটিও এ পদের কর্মীরা করেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন