১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার লিখিত পরীক্ষার পালা।
আবেদনের সময় প্রার্থী যে বিষয়টি নির্বাচিত করেছেন, লিখিত পরীক্ষা মূলত সেই বিষয়ের ওপর দিতে হবে। পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরে, সময় ৩ ঘণ্টা। ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ের প্রার্থীর সংখ্যা অনেক। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের জন্য এই দুই বিষয়ের প্রস্তুতি নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো—
ইংরেজি
♦
স্কুল
পর্যায়:
ইংরেজি Grammar-এর ওপর ৪০
আর Writing-এ ৬০। লিখিত
পরীক্ষার সিলেবাসের আইটেমগুলোর ওপর ভালো দখল আনতে হবে।
১.
Use of Article (৫ নম্বর): Article-এর ব্যতিক্রমধর্মী নিয়মগুলো
আয়ত্তে আনতে হবে| A, An, The-এর বেসিক ব্যবহার
জানতে হবে। নবম ও দশম শ্রেণির
বইগুলো থেকে চর্চা করতে হবে।
২.
Use of Preposition (৫ নম্বর):
Appropriate Preposition ভালোভাবে
জানতে হবে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসা Preposition-সংক্রান্ত প্রশ্ন Solve করতে হবে। নবম ও দশম শ্রেণির
Grammar বইয়ের
Preposition অংশের বেসিক নিয়মগুলো দেখলেই চলবে।
৩.
Right Form of verb (৫ নম্বর): বেসিক নিয়মগুলো জানার পাশাপাশি অনার্স পর্যায়ের ‘বেসিক ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল’ অংশের নিয়মগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪.
Correction (৫ নম্বর): এ অংশে ভালো
করতে হলে Subject I Agreement
Chapterw টি ভালোভাবে দেখতে হবে। তা ছাড়া Sentence making সম্পর্কেও পরিষ্কার
ধারণা থাকতে হবে। অর্থাৎ Parts of speech-এর সঠিক ব্যবহার
জানা থাকলে এ অংশে ভালো
করা যাবে।
৫.
Transformation of Sentence (৫ নম্বর): এ অংশের জন্য
সাধারণত Simple,
Complex, Compound এবং
Active I Passive-এ
Voice-গুলো চর্চা করতে হবে। প্রশ্নের Direction অনুযায়ী Change করতে হবে।
৬.
Making Sentence With Phrase (৫ নম্বর): এ অংশে ভালো
করার জন্য Phrase জানার বিকল্প নেই, বিশেষ করে বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা Phrase-গুলো গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া একাদশ
শ্রেণির Grammar বইয়ের কোনো Phrase and idioms যেন বাদ না যায়।
৭.
Completing Sentence (৫ নম্বর): ৫টি অসম্পূর্ণ বাক্য থাকবে। Grammar-এর নিয়ম ও
অর্থ ঠিক রেখে বাকি অংশ পূরণ করে বাক্যগুলোকে ‘সম্পূর্ণ’ করতে হবে। Sequence of tense-এর নিয়মগুলো জানা
থাকলে এ অংশে ভালো
করা যাবে।
৮.
Passage Narration (৫ নম্বর): সাধারণ Narration-এর নিয়মসহ Passage Narration-এর কিছু বিশেষ
নিয়ম আয়ত্ত করতে হবে। নবম-দশম শ্রেণির পাশাপাশি একাদশ শ্রেণির বইয়ের Passage Narration-গুলো চর্চা করতে হবে।
৯.
Bengali to English Translation: Vocabulary বা
ইংরেজি শব্দভাণ্ডার যত বেশি হবে,
এ অংশের উত্তর করা তত সহজ হবে।
তা ছাড়া ইংরেজি বাক্যের structure সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে।
১০.
Paragraph Writing (১০ নম্বর):
একটি আদর্শ Paragraph-এর সব রকমের
বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে এক প্যারায় Paragraph লিখতে হবে।
বাক্যগুলোর বক্তব্যে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। এ ধরনের Paragraph সমসাময়িক ঘটনার
বিষয়গুলোর ওপর থাকার সম্ভাবনা বেশি।
১১. প্রশ্নে Formal Letter ও Informal Letter দুটিই থাকবে, যেকোনো একটি লিখতে হবে। যথাযথ নিয়ম মেনে লিখলে ভালো নম্বর তোলা যাবে।
১২.
Report Writing: তারিখ
ও জায়গার নাম উল্লেখ করে Report Writing লিখতে হবে। এর Starting, Middle ও Ending ভালো হতে হবে।
১৩.
Essay বা
Composition Writing (২০ নম্বর):
সাধারণত জাতীয় কোনো বিষয়ের ওপর প্রশ্ন আসে, তাই জাতীয় ইস্যুগুলোর তথ্য-উপাত্ত জানা থাকলে উত্তর করা সহজ হবে। তথ্যভিত্তিক ও বাস্তবসম্মত লিখতে
পারলে ভালো নম্বর তোলা যাবে।
♦
কলেজ
পর্যায়:
‘প্রভাষক (ইংরেজি)’ পদের জন্য প্রার্থীকে অনার্স কোর্স অর্থাৎ English Literature-এর অংশ Syllabus অনুযায়ী
Period, Writer ও
Writing অংশের ওপর ভালো প্রস্তুতি থাকতে হবে।
এ অংশে ৭০ নম্বর বরাদ্দ।
History of English Literature, Period of English Literature Writer-এর মধ্যে Shakespeare, Marlowe, William Congreve,
Pope, William Wordsworth, Bernard Shaw, Robert Browning, Matthew Arnold, PB
Shelley, Charles Dickens, John Milton-এর
Writing-গুলো সিলেবাস অনুযায়ী ভালোভাবে দখলে এনে Texual ভাষায় উত্তর দিলে ভালো নম্বর তুলতে পারবেন। এ ছাড়া Literacy Term যেমন—Epic, Mock epic novel, Romance, Comedy,
Tragedy, Soliloquy, Poetic justice, Lyric metaphor, Simple elegy ভালো করে পড়তে হবে।
Grammar অংশের
মান ৩০। এর জন্য Changing words, Completing Sentence,
Letter writing ও
Summary খুব ভালো করে চর্চা করতে হবে। বাজারের ভালো কোনো বই থেকে নমুনা
প্রশ্নগুলো চর্চা করলে ভালো করা যাবে।
বাংলা
♦
স্কুল
পর্যায়
: ‘সহকারী শিক্ষক (বাংলা)’ পদের প্রার্থীদের প্রথমেই প্রশ্নের মানবণ্টন অনুযায়ী সময় ভাগ করে নিতে হবে, যাতে শতভাগ উত্তর নিশ্চিত করা যায়। বাংলা সাহিত্যের ওপর প্রার্থীর ভালো ধারণা থাকতে হবে; সিলেবাস অনুযায়ী নির্বাচিত প্রবন্ধ যেমন—বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বাঙালা ভাষা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সভ্যতার সংকট’, প্রমথ চৌধুরীর ‘যৌবনে দাও রাজটিকা’। এ ছাড়া
কাজী আব্দুল ওদুদ ও মোতাহার হোসেনের
প্রবন্ধগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচিত গল্পের মধ্যে ‘একরাত্রি’, ‘পুঁইমাচা’, ‘প্রাগৈতিহাসিক’, ‘নয়নতারা’ গল্পগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। কবিতার মধ্যে জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’, জসীমউদ্দীনের ‘কবর’, আল মাহমুদের ‘সোনালী
কাবিন’ পড়ে নেবেন। সময় পেলে উল্লিখিত লেখকদের অন্যান্য গল্পও পড়ে রাখতে পারেন। গদ্যরীতি, পত্র লিখন ও অনুবাদের (ইংরেজি-বাংলা) ওপরও প্রশ্ন থাকে। যেকোনো বিষয়বস্তুর ওপর প্রবন্ধ রচনা লেখার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় আসা বাংলা অংশের প্রশ্নগুলোও দেখবেন।
♦
কলেজ
পর্যায়:
‘প্রভাষক (বাংলা)’ পদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় কবি-সাহিত্যিকের জীবনী ও তাঁদের উল্লেখযোগ্য
লেখাগুলোর ওপর প্রশ্ন থাকে। বাংলা ভাষার পরিচয় ও ইতিহাস সম্পর্কেও
প্রশ্ন থাকতে পারে। চণ্ডীদাস, আলাওল, ভারতচন্দ্র, ঈশ্বরচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ও প্রমথ চৌধুরীর
গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলি আয়ত্ত করতে পারলে ভালো হয়। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারা সম্পর্কেও জানাশোনা থাকতে হবে।
যেমন—পদাবলি, মঙ্গলকাব্য, গীতিকাব্য, মহাকাব্য, নাটক, উপন্যাস ইত্যাদি। বাংলা ব্যাকরণ অংশ থেকে বাগধারা, সমার্থক শব্দ, বিপরীতার্থক শব্দ, ছন্দ-অলংকারের ওপর জোর দিতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন