ব্যাংক চাকরী হচ্ছে না কেন?


২০১৮-১৯ সাল বাংলাদেশে ব্যাংক চাকরীর ইতিহাসে স্বর্ণসময় গেছে।আমার মত অগা মগা যদু মদু কদু যারা একটু আধটু পড়াশোনা করেছে তারাই চাকরী পাইছে।আপনার হচ্ছে না কেন?


১. প্রথমত আপনি ম্যাথ পারেন না।ম্যাথ পারেন না এইটা আপনার ভুল না,আপনি ম্যাথের চেষ্টা করছেন না এইটা আপনার ভুল।অথবা আপনি বসে আছেন কোন একদিন কোন আলাদীনের চেরাগের বলে শর্টকাট ওয়েতে এক সপ্তাহে ম্যাথ শিখে যাবেন।

সরি, ম্যাথ শেখার কোন শর্টকাট ওয়ে নাই।প্রতিদিন ম্যাথ করেন, যা সামনে পান তাই করেন।ম্যাথের কোন সিলেবাস নাই, নতুন নতুন বই কিনে কিনে মাথা গরম বানায়েন না।যা আছে সেটাই শেষ করেন। ম্যাথ খাতায় লিখে লিখে প্রতিদিন করেন এছাড়া ম্যাথ শেখার কোন সহজ বই, কোন সহজ পদ্ধতি ইহজগতে নাই।

২. আপনার ইংলিশে অধিক দুর্বলতা। এখানেও বই এর নাম নিয়া দৌড়ায়েন না।এমন কোন বই নাই যেটা পড়লেই সব কমন পেয়ে যাবেন। আপনি প্রতিদিন অল্প অল্প খেয়ে শক্তিশালী হোন। বই দেখলে ভয় পায়েন না।এইটা পড়েই অনেকে চাকরী পাচ্ছে। পড়েন, আপনিও পারবেন।অনুবাদ প্রতিদিন প্র‍্যাক্টিস করেন।

৩. আপনি রিটেনে কোয়ালিটিফুল লেখা লিখছেন না।হয়ত রিটেনের ক্রিয়েটিভ রাইটিং বা বাংলা রচনায় আপনি সাদামাটা বাংলা কথা লিখে দিয়েছেন।এটাতে মার্ক আসবে না,আপনাকে তথ্য উপাথ্য গ্রাফ চার্ট দিয়ে লেখাটা শক্তিশালী করতে হবে। আপনি একবার পরীক্ষক হিসেবে চিন্তা করেন কোন খাতায় আপনি বেশী মার্ক দিতেন? যে সহজ বাংলায় বাচ্চাদের মত রচনা লিখছে তাকে নাকি যে তথ্যবহুল বিভিন্ন ডাটা চার্ট সহকারে একটা রচনা লিখছে তাকে।

৪. আপনি প্রশ্ন বিশ্লেষণ করতে জানেন না, গাধার মত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ব্যাংকের গত বছরগুলোর প্রশ্ন সব দেখেন, বিশ্লেষণ করেন।কি টাইপ ম্যাথ এসেছে,আপনার দুর্বলতা কোন টাইপ ম্যাথে।ক্রিয়েটিভ রাইটিংস এ কি টাইপ টপিক এসেছে, সেগুলা লিখার জন্য কি টাইপ ডাটা লাগে,সেগুলা আপনার কালেকশানে আছে কিনা। সাধারণ জ্ঞান বা বাংলা কোত্থেকে বেশী আসে, সেগুলাতে আপনার দুর্বলতা কোথায় খুজে বের করুন।আপনার দুর্বলতাগুলো বার বার প্র‍্যাক্টিস করুন

৫. আপনি টাইম মেইনটেইন করতে জানেন না। আপনি একটার পেছনে বেশী সময় দিচ্ছেন, ফলে অন্যগুলা সব আন্সার করতে করতে পারছেন না।প্রিলিতে প্রতিটা প্রশ্নের জন্যই মার্ক সেম।একটা ম্যাথ ৫ মিনিটে সমাধান করেও আপনি ১ পাবেন, আবার একটা সাধারণ জ্ঞান ৫ সেকেন্ডে উত্তর করেও সমান মার্ক পাবেন।আপনাকে জানতে হবে কোথায় থামা উচিত।

রিটেনে যদি ম্যাথের পেছনেই সব সময় দেন,তাইলে বাকিগুলা টাচ ও করতে পারবেন না।আগে একটা টাইম ডিস্ট্রিবিউশন করে এরপর শুরু করেন।ধরেন,ম্যাথের জন্য ৫০ মিনিট টাইম দিবেন,এই সময়ের মধ্যে না পারলে নাই,বাকিগুলা শুরু করেন।যদি সময় থাকে আবার ম্যাথে ট্রাই কইরেন।একটাতে লেগে থাকলে বাকিগুলা টাচ করতে পারবেন না।

৬. আপনি পরীক্ষার হলে অতিরিক্ত ভয় পান।ভাই এইটা একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ভয় পাওয়ার তো কিছু নাই,যা পারেন তাই দিবেন,না পারলে নাই।যত্ত ভয় পাবেন তত্ত এলোমেলো লেগে যাবে। সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন।

একটা কথা বার বার মনে করুন,আপনাকে সবার চেয়ে ভাল পরীক্ষা দিয়ে ফার্স্ট হওয়া লাগবে না।আপনি যা জানেন,যতটা পারেন সেটাই ব্যবহার করে আপনার পক্ষে যতটা ভাল পরীক্ষা দেয়া সম্ভব আপনি সেই পরীক্ষাটা দিবেন।ব্যাস।

মন্তব্যসমূহ