মাইক্রোসফটে চাকরির স্বপ্ন যেভা‌বে পূরণ হলো পল্লবের

মাইক্রোসফট ক‌র্পো‌রেশ‌নের হেডকোয়ার্টারে যোগদান করেছেন বাংলাদেশের পল্লব মাহমুদ। তিনি লেখক, সাংবাদিক ও ভ্রমণগদ্যের সম্পাদক মাহমুদ হাফিজের ছেলে। পল্লব মাহমুদ গতকাল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সেখানে যোগদান করেন।

পল্লব পড়াশোনা করেছেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। পরে তার আগ্রহে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন। ছাত্র জীবনেই তার ডাক পড়ে কোরিয়ার স্যামসান থেকে।

সামস্যান হেড কোয়ার্টারে দু’দফা চাকরি ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। কিছুদিন ওই কোম্পানির বাংলাদেশ অফিসে টিম পরিচালনা করেন। তারপর স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন ইউনিভার্সিটিতে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এছাড়া ‘কমার্স হাব’ ও ‘এক্সপেডিয়া’য় চাকরি করেন।

ছেলের সফলতায় আপ্লুত বাবা মাহমুদ হাফিজ। তিনি বলেন, ‘শিশুপুত্রকে যখন ডস মুডের পুরোনো কম্পিউটার কিনে দেই নব্বই দশকের শেষভাগে। তখনই স্বপ্ন দেখেছি, জগতের শীর্ষপ্রতিষ্ঠানই হতে হবে তার কর্মস্থল। মাউস নেই, রঙিন মনিটর নেই, অপারেটিং সিস্টেম বলতে ভরসামাত্র ডস। বিশালকায় সাদা কী-বোর্ডের ওপর ক্ষুদ্র হাতের অতি ক্ষুদ্র আঙুল রেখে সাদা-কালো মনিটরে তাকিয়ে তখন শুধু ‘প্যারানয়েড’ গেম খেলা।’

তিনি বলেন, ‘একটু বড় হলে কিনে আনি ড্যাফোডিল ব্র্যান্ডের ডেস্কটপ। তাও ডস মুডের। একে একে কম্প্যাক, আসুস, এইচপি ল্যাপটপ এলো বাসায়। ক্লাস সেভেনে উঠে বন্ধুর সঙ্গে সফটওয়্যার বানিয়ে ফেললো ‘টাইনি মনস্টার’। ওপেন সোর্সে ওয়েবে ছাড়লো গান শোনার সফটওয়্যার। ঘরে-বাইরে তখন তার নাম দেওয়া হয় ‘সাইবার সান’। আমাদের আড়াই দশকের স্বপ্নের ইনিংসের আপাত অবসান।’

মন্তব্যসমূহ