সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি : DPE Job Circular 2020

সরকা‌রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। এ পর্যায়ে নতুন করে সাড়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

সোমবার ডিপিই থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্বখাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক’ এর শূন্যপদ এবং জাতীয়করণ করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিডিইপি-৪ এর আওতায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য রাজস্বখাতে সৃষ্ট ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে। তবে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের প্রার্থীরা এতে আবেদন করতে পারবেন না।

আবেদন শুরুঃ 
আগামী ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে ২৪ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। 

বেতন স্কেলঃ
সহকারী শিক্ষকদের বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা সা‌থে অন্যান্য সু‌বিধা তো থাক‌ছেই।

বয়সঃ 
প্রার্থীদের বয়স ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং গত ২৫ মার্চ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৩২ বছর।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ 
যে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী বা সমমানের সিজিপিএ-সহ স্নাতক বা সম্মান বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।

আবেদন ফিঃ
আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। 

প্রার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। http://dpe.telelalk.com.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে অনলাইনে আবেদনের ফরম পূরণের নির্দেশনা পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
মঙ্গলবার চারটি জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে‌ছে। বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে।

ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, এবারের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারাদেশে ২৫ হাজার ৬৩০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ৬ হাজার ৯৪৭ শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৬৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মুজিববর্ষে সব শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়নি। তবে গত সেপ্টেম্বরে নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অক্টোবরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো।
মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগের পর গত সেপ্টেম্বরে কোটামুক্ত রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিকের শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেড হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন, নিয়োগ দেওয়া হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। এর আগে একই বছর ২০১৪ সালের স্থগিত পরীক্ষাটিও নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ প্রার্থী। এর মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে। এ দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত নির্বাচিত হননি ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী। উত্তীর্ণ এসব প্রার্থী ২০১০-২০১১ সালের মতো প্যানেল নিয়োগ চান। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, প্যানেলে নিয়োগ দেওয়া হবে না। নতুন বিজ্ঞপ্তি...

মন্তব্যসমূহ